“তিনি কহিলেন”-র অন্যান্য অংশগুলো – পার্ট-1 | পার্ট-3
--------------------------------------------------------------------------
তখন ধপাস সবে অপোজিটস শিখছে, মানে হট-কোল্ড, টল-শর্ট, ইত্যাদি। কলকাতা যাচ্ছি আমি আর ধপাস, এয়ারপোর্টে। আমার জ্বর হয়েছে কদিন আগে, ও গায়ে হাত দিয়ে দেখেছে। হঠাৎ এয়ারপোর্টের মাঝখানে তারস্বরে চিৎকার করতে করতে আমার দিকে আঙ্গুল দেখিয়ে বলে -
See! See! My Mum is hot!
যত মুখ চেপে ধরি, কে কার কথা শোনে!
--------------------------------------------------------------------------
- তুমি কি "One a penny, two a penny"-র টুয়া?
--------------------------------------------------------------------------
তখন সদ্য স্কুলে যেতে শুরু করেছে। মানে, দু বছর চার মাস নাগাদ। স্কুল থেকে ফিরে কথোপকথনটা এরকম -
- সোনা, আজকে স্কুলে কি হল?
- আমি একটু কাঁদলাম।
- এমা, কাঁদলি কেন? ম্যাম কি বলল?
- ম্যাম বলল - Roopkatha, don't cry!
- তারপর?
- তারপর আমি বললাম - Yes cry! বলে, আরেকটু কাঁদলাম।
--------------------------------------------------------------------------
- কিন্তু, তুই স্কুলে গিয়ে কাঁদিস কেন?
- মাম, তুমি আর বিট্টু যখন ছোট ছিলে, তোমরা স্কুলে গিয়ে কাঁদতে না?
*Silence*
--------------------------------------------------------------------------
একদিন বলে - একটা মজা দেখবে? আমি এই প্লেটটা ছুঁড়ে ফেলবো, আর বাবা কেমন বকবে?
বলে উঠে গিয়ে প্লেটটা ঠাই করে ছুঁড়ে ফেললো। অনির্বাণ অবধারিত ভাবে বকলো। ও হেসে আমাকে বললো - দেখলে?
--------------------------------------------------------------------------
কলকাতা থেকে ফিরে -
- মাম, কলকাতায় মশা তাই আমরা মশারী টাঙাই?
- হুঁ ।
- তাহলে বোধহয় গুরগাঁওতে আমাদের একটা মাছিরি লাগবে ।
--------------------------------------------------------------------------
"আমি রোজ সকালে আর রাতে
ক্রিম মাখি পায়ে আর হাতে "
- মাম দেখো ,আমি এটা কেমন কবিতা করে বললাম!
--------------------------------------------------------------------------
না, এখনও ওর তিন বছর হয়নি। বড় হলে কি হবে আমি জানিনা, সত্যি বলছি!
“তিনি কহিলেন”-র অন্যান্য অংশগুলো – পার্ট-1 | পার্ট-3
--------------------------------------------------------------------------
তখন ধপাস সবে অপোজিটস শিখছে, মানে হট-কোল্ড, টল-শর্ট, ইত্যাদি। কলকাতা যাচ্ছি আমি আর ধপাস, এয়ারপোর্টে। আমার জ্বর হয়েছে কদিন আগে, ও গায়ে হাত দিয়ে দেখেছে। হঠাৎ এয়ারপোর্টের মাঝখানে তারস্বরে চিৎকার করতে করতে আমার দিকে আঙ্গুল দেখিয়ে বলে -
See! See! My Mum is hot!
যত মুখ চেপে ধরি, কে কার কথা শোনে!
--------------------------------------------------------------------------
- তুমি কি "One a penny, two a penny"-র টুয়া?
--------------------------------------------------------------------------
তখন সদ্য স্কুলে যেতে শুরু করেছে। মানে, দু বছর চার মাস নাগাদ। স্কুল থেকে ফিরে কথোপকথনটা এরকম -
- সোনা, আজকে স্কুলে কি হল?
- আমি একটু কাঁদলাম।
- এমা, কাঁদলি কেন? ম্যাম কি বলল?
- ম্যাম বলল - Roopkatha, don't cry!
- তারপর?
- তারপর আমি বললাম - Yes cry! বলে, আরেকটু কাঁদলাম।
--------------------------------------------------------------------------
- কিন্তু, তুই স্কুলে গিয়ে কাঁদিস কেন?
- মাম, তুমি আর বিট্টু যখন ছোট ছিলে, তোমরা স্কুলে গিয়ে কাঁদতে না?
*Silence*
--------------------------------------------------------------------------
ধপাস স্কুল জয়েন করার সপ্তাহ খানেকের মধ্যেই স্বাধীনতা দিবস। স্কুল থেকে বলে পাঠিয়েছে কোন স্বাধীনতা সংগ্রামীর পোশাকে সাজিয়ে পাঠাতে। অনেক ভেবেচিন্তে একটা তরোয়াল বানিয়ে আর মারাঠি স্টাইলে শাড়ি পরিয়ে আর টিপ এঁকে ওকে রানি লক্ষ্মীবাই সাজিয়ে পাঠিয়েছিলাম। ফিরে আসার পর -
- স্কুলে কি বলল?
- ম্যাম বলল - Who are you?
- তুই কি বললি?
- বললাম - I am Jhansi ki Raani.
- আর কি বলল?
- ম্যাম বলল - What is the name of Jhansi ki Raani? আমি বললাম - লক্ষ্মী মেয়ে!
--------------------------------------------------------------------------
--------------------------------------------------------------------------- স্কুলে কি বলল?
- ম্যাম বলল - Who are you?
- তুই কি বললি?
- বললাম - I am Jhansi ki Raani.
- আর কি বলল?
- ম্যাম বলল - What is the name of Jhansi ki Raani? আমি বললাম - লক্ষ্মী মেয়ে!
--------------------------------------------------------------------------
ধপাসের স্কুলের বন্ধুর মা এসেছে মেয়ের জন্মদিনে নেমন্তন্ন করতে। ধপাস খুব গম্ভীর মুখ করে বলল - তুমি ওর মা? জানো, ও এমনিতে গুড গার্ল, কিন্তু রোজ স্কুলে গিয়ে আমার অরিও বিস্কুট খেয়ে নেয়। তাই আমি আজকাল টিফিনে আর অরিও বিস্কুট নিয়ে যাই না, শুধু পপকর্ন নিয়ে যাই। আর অরিও বিস্কুটগুলো সব বাড়িতে এসে খাই।
একদিন বলে - একটা মজা দেখবে? আমি এই প্লেটটা ছুঁড়ে ফেলবো, আর বাবা কেমন বকবে?
বলে উঠে গিয়ে প্লেটটা ঠাই করে ছুঁড়ে ফেললো। অনির্বাণ অবধারিত ভাবে বকলো। ও হেসে আমাকে বললো - দেখলে?
--------------------------------------------------------------------------
কলকাতা থেকে ফিরে -
- মাম, কলকাতায় মশা তাই আমরা মশারী টাঙাই?
- হুঁ ।
- তাহলে বোধহয় গুরগাঁওতে আমাদের একটা মাছিরি লাগবে ।
--------------------------------------------------------------------------
"আমি রোজ সকালে আর রাতে
ক্রিম মাখি পায়ে আর হাতে "
- মাম দেখো ,আমি এটা কেমন কবিতা করে বললাম!
--------------------------------------------------------------------------
না, এখনও ওর তিন বছর হয়নি। বড় হলে কি হবে আমি জানিনা, সত্যি বলছি!
“তিনি কহিলেন”-র অন্যান্য অংশগুলো – পার্ট-1 | পার্ট-3
Duronto ghurni ��
ReplyDeleteShei.. Ar amar duniyatao bon-bon kore ghurchhe! :(
Delete