একঃ
দুইঃ
তিনঃ
- আমি বড় হয়ে মহেশ হতে চাই!
আমার বছর-তিনেকের খুড়তুতো ভাই স্কুল থেকে বাড়ি ফিরে সগর্বে ঘোষণা করলো!
- মহেশ, সে আবার কে?
- মহেশ মানে মহেশ!!
যেন, এ আবার জিজ্ঞেস করার কি আছে!
- সে আবার কি রে! মহেশ আবার কে, সে কি করে?
- ও আচ্ছা, তাইই বল! - কাকিমনির মুখে এবারে আবিষ্কারের হাসি ফুটলো!
- মহেশ মানে ওর স্কুল বাসের কন্ডাক্টার। বাসরুট নম্বর তিন!
- তুই অঙ্কে কুড়িতে বারো পেয়েছিস?
(মাথা নিচু, পায়ের আঙ্গুলে মাটিতে আঁচড়)
- তুই এই সহজ সাম-টা ভুল করেছিস!
(মাথা নিচু, পায়ের আঙ্গুলে মাটিতে আঁচড়, চোখের কোণে জল)
-তোর লজ্জা করে না? গাধা কোথাকার! জানিস, তোর বাবা কোনোদিন ক্লাসে ফার্স্ট ছাড়া সেকেন্ড হয়নি!
ধরা গলা, চোখের কোণ থেকে উপচে পড়া জল নিয়ে চার-ফুটের সাহসী সতীব্র প্রতিবাদ -
- অর্কর বাবাও নাকি সব সময়ে ফার্স্ট হতো। আহিরির বাবাও। আর নিকিতার বাবাও একই কথা বলে। সব বাবারাই যদি সবসময় ফার্স্টই হতো, তাহলে স্কুলে সেকেন্ড হতো কে?
(মাথা নিচু, পায়ের আঙ্গুলে মাটিতে আঁচড়)
- তুই এই সহজ সাম-টা ভুল করেছিস!
(মাথা নিচু, পায়ের আঙ্গুলে মাটিতে আঁচড়, চোখের কোণে জল)
-তোর লজ্জা করে না? গাধা কোথাকার! জানিস, তোর বাবা কোনোদিন ক্লাসে ফার্স্ট ছাড়া সেকেন্ড হয়নি!
ধরা গলা, চোখের কোণ থেকে উপচে পড়া জল নিয়ে চার-ফুটের সাহসী সতীব্র প্রতিবাদ -
- অর্কর বাবাও নাকি সব সময়ে ফার্স্ট হতো। আহিরির বাবাও। আর নিকিতার বাবাও একই কথা বলে। সব বাবারাই যদি সবসময় ফার্স্টই হতো, তাহলে স্কুলে সেকেন্ড হতো কে?
দুইঃ
ক্লাস টু'য়ের ক্ষুদে, আর তার স্নেহময়ী প্রাইভেট টিউটর আন্টি।
- সোনা, আজ স্কুলে ইংলিশ টেস্ট হলো?
- হ্যাঁ আন্টি, হলো তো।
- কী এস্যে লিখতে দিলো রে?
- ওই যে, তুমি যেটা শিখিয়ে দিয়েছিলে। কাউ।
- বাহ, তাহলে তো তুই সব পেরেছিস। খাতা দেখে দিয়েছে?
- হ্যাঁঅ্যাঅ্যা...
- নম্বর দিয়েছে?
- হ্যাঁঅ্যাঅ্যা...
- কতো পেলি রে, সোনা?
- থ্রী। টেন'য়ে।
- থ্রী!! সেকি, কেন?
- কেন জানোনা?
বিশ্ববিজয়ীর ভঙ্গিতে মাথা ঝাঁকিয়ে ঘাড় দুলিয়ে মিচকি হেসে সোনার রহস্য উদ্ঘাটন -
- আমি তোমার শেখানোটা লিখিনি তো, নিজে নিজে বানিয়ে বানিয়ে লিখেছি!!
- সোনা, আজ স্কুলে ইংলিশ টেস্ট হলো?
- হ্যাঁ আন্টি, হলো তো।
- কী এস্যে লিখতে দিলো রে?
- ওই যে, তুমি যেটা শিখিয়ে দিয়েছিলে। কাউ।
- বাহ, তাহলে তো তুই সব পেরেছিস। খাতা দেখে দিয়েছে?
- হ্যাঁঅ্যাঅ্যা...
- নম্বর দিয়েছে?
- হ্যাঁঅ্যাঅ্যা...
- কতো পেলি রে, সোনা?
- থ্রী। টেন'য়ে।
- থ্রী!! সেকি, কেন?
- কেন জানোনা?
বিশ্ববিজয়ীর ভঙ্গিতে মাথা ঝাঁকিয়ে ঘাড় দুলিয়ে মিচকি হেসে সোনার রহস্য উদ্ঘাটন -
- আমি তোমার শেখানোটা লিখিনি তো, নিজে নিজে বানিয়ে বানিয়ে লিখেছি!!
তিনঃ
- আমি বড় হয়ে মহেশ হতে চাই!
আমার বছর-তিনেকের খুড়তুতো ভাই স্কুল থেকে বাড়ি ফিরে সগর্বে ঘোষণা করলো!
- মহেশ, সে আবার কে?
- মহেশ মানে মহেশ!!
যেন, এ আবার জিজ্ঞেস করার কি আছে!
ওর দাদা, সে তখন ছয় কি সাত হবে, খুব বিজ্ঞের মতো ফুট কাটলো -
- তুই কি মোষ নাকি?
ক'দিন আগেই সে আমার থেকে গফুর, আমিনা আর মহেশের গল্প শুনেছে, জ্ঞান ফলাতে ছাড়বে কেন!
- না, আমি মানুষ মহেশ হবো!
- সে আবার কি রে! মহেশ আবার কে, সে কি করে?
প্রশ্নটা শুনেই সে তড়াক করে সোফায় উঠে তারপর জানলার গ্রীল বেয়ে তরতর করে কয়েক স্টেপ উঠে গেল, আর তারপর এক হাতে গ্রীল ধরে ঝুলতে ঝুলতে অন্য হাত দিয়ে প্রাণপণে পাশের দেওয়ালে চাপড় মারতে মারতে চেঁচাতে লাগলো -
- তিন নম্বর, তিন নম্বর! ডায়ে ডায়ে, বাঁয়ে বাঁয়ে, আস্তে, রোক্কে রোক্কে, লেডিস লেডিস...
- তিন নম্বর, তিন নম্বর! ডায়ে ডায়ে, বাঁয়ে বাঁয়ে, আস্তে, রোক্কে রোক্কে, লেডিস লেডিস...
- ও আচ্ছা, তাইই বল! - কাকিমনির মুখে এবারে আবিষ্কারের হাসি ফুটলো!
- মহেশ মানে ওর স্কুল বাসের কন্ডাক্টার। বাসরুট নম্বর তিন!
The great thing that happened for me bcos of ur blog is that every day in the morning I read ur blog, soon after I wake up, and it makes me feel good. :) Thanks and pls keep writing. :)
ReplyDeleteThank you. I will.
Deleteটপ্পা-ঠুংরী ..... বাহ্ চলতে থাকুক্। হেয়ার স্কুল থেকে হিন্দু তে এলাম class VI এ। পরপর তিনবার অংকে বারো :P সংখ্যাটায় কোনো একটা গড়বড়্ আছে নিঘ্ঘাৎ। কি করে হয়!!!! সমর স্যর বল্লেন, হয় হয়, Z-ানতি পারো না.... এটা হিন্দুস্কুল।। সে রাম ও নাই, অযোধ্যাও।
ReplyDeleteHehe.. Raam, ajodhya shobi achhe..
Deleteবেশ সুন্দর। :)
ReplyDeleteThank you, Arijit
Delete