একা একা বেড়াতে যাবো একবার, এই ভাবনাটা একা একা স্রেফ ভাবা ছাড়া কার্যত যে কোনোদিন একা একা করে ওঠা হবে, সেটা সত্যিই ভাবিনি। কিন্তু কি আশ্চর্য, হবে। সত্যিই হবে। মানে, হতে চলেছে। আমি একা, একদম একা, স্রেফ নিজের সাথে নিজে, বেড়াতে যাবো। কোথায় যাবো, কোথায় থাকবো, কদিনের জন্য, কি কি দেখবো - এসব নিয়ে কারোর সাথে সহমত হওয়ার কোন দায় নেই। এমন কি, প্ল্যান করারই কোন দায় নেই। জাস্ট চলে যাবো। আমি। একা। ভাবা যায়!!
কোথায় যাব? বলবো না!
কিন্তু এটা বলতে পারি, যে সেখানে ভোরবেলা পাহাড়ের চূড়ার ওপর দিয়ে কমলা রঙের সূর্য উঠবে। আমার হোটেলের ঘরটা, আঠেরো তলায়, সেটার একটা দিকের দেওয়াল পুরোটা কাঁচের। বিছানায় শুয়ে শুয়ে সেই কাঁচের দেওয়াল জোড়া সূর্যোদয় দেখবো আমি, প্রতিদিন। নীল, সবুজ, খয়েরি রঙের পাহাড়ের খাঁজের মধ্যে দিয়ে কমলা রঙের সূর্য।
সবচেয়ে কাছে যে পাহাড়টা, পাহাড় ঠিক নয়, টিলা বলা যায়, সেটার গা দিয়ে ঝর্না ঝরবে অঝোরে। সেই ঝর্নার জলে স্নান করতে যাবো, রোজ দুপুরবেলা। বিকেল যখন হবে, পড়ন্ত বেলার আলোয় সেই পাহারগুলোর রং বদলে যাবে। আর ওদের ওপর দিয়ে ভেসে উঠবে একটা ই-য়া-ব-ড় রামধনু, পুরো দিগন্ত জুড়ে।
সমুদ্রও থাকবে। সমুদ্র তো থাকতেই হবে!
সমুদ্র সন্ধ্যেবেলার জন্য। নির্জন, নির্বান্ধব কিনারা ধরে একা একা অনেকক্ষণ দিশাহীন, সময়হীন, অন্তহীনভাবে হাঁটার জন্য। হাঁটতে হাঁটতে সন্ধ্যে গড়িয়ে রাত হবে। চাঁদটা যত স্পষ্ট হবে, সমুদ্রের জলে একটু একটু করে জোয়ার আসবে। ধূসর বালির ফাঁকে ফাঁকে শাদা ঝিনুকের টুকরোগুলো আকাশের তারার মতো ঝিকমিক করবে।
তারপর, একদিন যেদিন পূর্ণিমা হবে, সেদিন সমুদ্রের গর্জনে ঘুম ভেঙ্গে যাবে বারবার। তারপর মাঝরাতে শেষমেশ বিছানার মায়া কাটিয়ে চপ্পলটা পায়ে গলিয়ে নিয়ে রাতপোশাক পরেই চলে যাবো সমুদ্রে। এক-পা এক-পা করে কোমরজলে গিয়ে দাঁড়াবো। নিশ্চল হয়ে, সমাধিস্ত হয়ে দাঁড়িয়ে থাকবো, অন্তত কয়েক ঘন্টা। তারপর সকালবেলা যখন দেরি করে ব্রেকফাস্ট করতে যাবো, শুনবো অন্যান্য গেস্টরা রিসেপশানে গিয়ে কমপ্লেন লেখাচ্ছে - "সকালবেলা লিফটে এতো বালি আসে কোত্থেকে!"
কবে ফিরবো? না, বলবো না সেটাও!
কি এসে যায়?
কি হয়, যদি নাই ফিরি কোনোদিন?
কোথায় যাব? বলবো না!
কিন্তু এটা বলতে পারি, যে সেখানে ভোরবেলা পাহাড়ের চূড়ার ওপর দিয়ে কমলা রঙের সূর্য উঠবে। আমার হোটেলের ঘরটা, আঠেরো তলায়, সেটার একটা দিকের দেওয়াল পুরোটা কাঁচের। বিছানায় শুয়ে শুয়ে সেই কাঁচের দেওয়াল জোড়া সূর্যোদয় দেখবো আমি, প্রতিদিন। নীল, সবুজ, খয়েরি রঙের পাহাড়ের খাঁজের মধ্যে দিয়ে কমলা রঙের সূর্য।
সবচেয়ে কাছে যে পাহাড়টা, পাহাড় ঠিক নয়, টিলা বলা যায়, সেটার গা দিয়ে ঝর্না ঝরবে অঝোরে। সেই ঝর্নার জলে স্নান করতে যাবো, রোজ দুপুরবেলা। বিকেল যখন হবে, পড়ন্ত বেলার আলোয় সেই পাহারগুলোর রং বদলে যাবে। আর ওদের ওপর দিয়ে ভেসে উঠবে একটা ই-য়া-ব-ড় রামধনু, পুরো দিগন্ত জুড়ে।
সমুদ্রও থাকবে। সমুদ্র তো থাকতেই হবে!
সমুদ্র সন্ধ্যেবেলার জন্য। নির্জন, নির্বান্ধব কিনারা ধরে একা একা অনেকক্ষণ দিশাহীন, সময়হীন, অন্তহীনভাবে হাঁটার জন্য। হাঁটতে হাঁটতে সন্ধ্যে গড়িয়ে রাত হবে। চাঁদটা যত স্পষ্ট হবে, সমুদ্রের জলে একটু একটু করে জোয়ার আসবে। ধূসর বালির ফাঁকে ফাঁকে শাদা ঝিনুকের টুকরোগুলো আকাশের তারার মতো ঝিকমিক করবে।
তারপর, একদিন যেদিন পূর্ণিমা হবে, সেদিন সমুদ্রের গর্জনে ঘুম ভেঙ্গে যাবে বারবার। তারপর মাঝরাতে শেষমেশ বিছানার মায়া কাটিয়ে চপ্পলটা পায়ে গলিয়ে নিয়ে রাতপোশাক পরেই চলে যাবো সমুদ্রে। এক-পা এক-পা করে কোমরজলে গিয়ে দাঁড়াবো। নিশ্চল হয়ে, সমাধিস্ত হয়ে দাঁড়িয়ে থাকবো, অন্তত কয়েক ঘন্টা। তারপর সকালবেলা যখন দেরি করে ব্রেকফাস্ট করতে যাবো, শুনবো অন্যান্য গেস্টরা রিসেপশানে গিয়ে কমপ্লেন লেখাচ্ছে - "সকালবেলা লিফটে এতো বালি আসে কোত্থেকে!"
কবে ফিরবো? না, বলবো না সেটাও!
কি এসে যায়?
কি হয়, যদি নাই ফিরি কোনোদিন?
erom bhabe otripti bodh koranor jonye dhonyobaad r bokuni dutoi pathalam
ReplyDeletebhalo theko Sinjini, erom e theko, eibhabei r o r o bhebo
Thank you so, so much! :)
ReplyDeleteদুদান্ত লাগল। অসাধারন লেখা
ReplyDelete