বর্ষণ,
তোকে চিঠি লেখাটা লং ডিউ ছিল। সরি রে।
জানিস তো, আজ অফিস থেকে ফিরছি, হঠাৎ পেছন থেকে একজনকে দেখে একদম তোর মতো লাগলো। আমি তো আরেকটু হলে গাড়ির কাঁচ নামিয়ে ডেকেই ফেলতাম, ভাগ্যিস গাড়িটা স্পিডে চলছিল!
জানি তুই মনে মনে গালাগালি দিচ্ছিস - "গাড়ল! আমি তোকে খবর না দিয়ে তোর শহর ঘুরে আসবো! এই চিনলি?"
জানি। তবু!
কে বলত লোকটা? একদম তোর মতো দেখতে!
তোর অন্তত মনে মনে ওনাকে একটা থ্যাঙ্কস দেওয়া উচিত। ওনার জন্য আজ এতদিন পর তোকে একটা চিঠি লেখা হচ্ছে ফাইনালি।
একটা কথা বল, তুই সবসময়ে বলিস - "চিঠি লেখ, চিঠি লেখ," কি লিখব বলত আমি? আমার তো কিছুই লেখার থাকে না! আমার প্রত্যেকটা দিন ঠিক একই রকম। বাজি রেখে বলতে পারি, "ফাইন্ড দ্য ডিফারেন্স" দিলে কালেন্ডারের ডেট ছাড়া আর একটা পয়েন্টও স্কোর করতে পারবি না তুই।
কমপ্লেন করছি না। স্বীকার করছি, আগে একটু ক্লস্ট্রোফবিক লাগতো, কিন্তু এখন একদম সয়ে গেছে রে। এটাই হয়ত ভালো।
তুই আগের চিঠিতে কবিতা লেখার কথা জিজ্ঞেস করেছিলি। নাঃ, কবিতা আর লেখা হয় না। ্তোর?
হবি বলতে আর সের'ম কিছু চর্চা নেই আর। বই পড়ি মাঝে মাঝে, ওইটুকুই! না, সাহিত্য না, "সেলফ হেল্প বুক"। একটা সময়ে যখন খুব মন খারাপ হতো মাঝেমধ্যেই, খিদে-ঘুম বন্ধ, তখন অফিসের একটা মেয়ে একটা বই সাজেস্ট করেছিল। সেই শুরু। একটা - দুটো করে বাড়তে বাড়তে এখন আমার বুক শেলফের দু-দুটো র্যাক স্রেফ সেলফ হেল্প বইয়ে ভরে গেছে, জানিস তো? অবশ্য সত্যি কথা বলতে গেলে আজকাল আর এই বইগুলোর থেরাপি সের'ম ভাবে ছোঁয়না আমাকে।
হবি বলতে আর সের'ম কিছু চর্চা নেই আর। বই পড়ি মাঝে মাঝে, ওইটুকুই! না, সাহিত্য না, "সেলফ হেল্প বুক"। একটা সময়ে যখন খুব মন খারাপ হতো মাঝেমধ্যেই, খিদে-ঘুম বন্ধ, তখন অফিসের একটা মেয়ে একটা বই সাজেস্ট করেছিল। সেই শুরু। একটা - দুটো করে বাড়তে বাড়তে এখন আমার বুক শেলফের দু-দুটো র্যাক স্রেফ সেলফ হেল্প বইয়ে ভরে গেছে, জানিস তো? অবশ্য সত্যি কথা বলতে গেলে আজকাল আর এই বইগুলোর থেরাপি সের'ম ভাবে ছোঁয়না আমাকে।
যাই হোক।
তোর খবর জানাস। না, মেল না, চিঠি লিখে।
PS: আমি ভালো আছি কিন্তু। ঠিক আছি। সত্যিই।
No comments:
Post a Comment
Did you like it? Did you not? Please leave a comment...