(১)
আমার বিয়ের সময় অনির্বাণের
কয়েকজন বন্ধু বড়কাকাকে দেখে বেশ চমকে গিয়ে বলেছিলঃ “উরিব্বাস! ইনি কে জানিস? এ কে বাসু! ইউনিভার্সিটিতে সবাই এনাকে ভগবান বলে মানে।“ আমি
অবাক হয়ে বলেছিলাম, “ধুর! ওটা তো বড়কাকা!”
১৮ই জুলাই ২০১৬ তে অর্থাৎ বড়কাকার কাজের দিন ঠিক সেই ব্যাপারটাই আবার
হল। নানান ক্ষেত্র থেকে
অতিথিরা এসেছেন যারা বড়কাকাকে শ্রদ্ধা করতেন, ভালবাসতেন, তাঁরা “স্যর”
বলে উল্লেখ করে নানা কিছু স্মৃতিমন্থন করছেন, অতীতচারণা
– ইউনিভার্সিটির কথা, ওনার পড়ানোর কথা…
আর আমার মনে হচ্ছে - “ধুর! ওটা তো বড়কাকা!”
বড়কাকাকে
নিয়ে লিখতে হবে।
কিন্তু যাই লিখবো, মনে হবে যেটা বলতে চাই সেটা বলা হলনা।
বড়কাকাকে ডেস্ক্রাইব করার চেষ্টা করাটাও বোধ হয় – সে যতই পাতার পর পাতা ভর্তি করে লিখি না কেন – শেষে ওই অন্ধের হাতি দেখাতেই পরিণত হবে।
আসল কথাটা হল, বড়কাকা
মানুষটার ব্যাপ্তি আর গভীরতা দুটোই এতটাই বেশি, যে একটা সামান্য লেখায় ওনার স্মৃতিকে ধরতে যাওয়ার চেষ্টা করাটাই বাতুলতা, অথবা হয়ত একপ্রকার ইঞ্জাস্টিস করা।
বড়কাকা একটা প্রিজমের মতন – এক একদিক থেকে আলো ফেললে এক একরকমের রামধনু-রং বিচ্ছুরিত হয়, আর তার
প্রত্যেকটাই আপন দ্যূতিতে উজ্জ্বল!
তবু, বিন্দু
বিন্দু দিয়ে সিন্ধু ধারণ করার একটা অক্ষম প্রয়াস…